চেহারায় আভিজাত্যের ছাপ। বাস্তবেও তাই। তিনি একজন সাবেক সচিবের মেয়ে। কিন্তু এই পরিচয়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে তার অপকর্ম। চুরি ও প্রতারণার অভিযোগে আটক করা হয়েছে তাকে। তিনি জুবাইদা সুলতানা। প্রায় ১২ বছর যাবত বিভিন্ন তারকা হোটেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে হাতিয়ে নেন অন্যদের ফোন, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও মানিব্যাগ। আজ, শনিবার রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানানো হয়।
জুবাইদাকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ জানান, বিভিন্ন সময়ে নানা ছদ্মনামে নিজেকে পরিচয় দেন জুবাইদা। কয়েকদিন আগে ঢাকা ক্লাবের এক সেমিনারে অংশগ্রহণ করে জুবাইদা চুরি করেন ডা. ফারহানা নামে এক নারীর মোবাইল, ব্যাগ ও গহনা। তারপর দামি সব জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও ডা. ফারহানার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারটি নিজের মোবাইলে স্থানান্তর করে নেন প্রতারক জুবাইদা। আর এতেই গোয়েন্দা জালে আটক হন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান, চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করে দিতেন জুবাইদার স্বামী। আর কিছু জিনিস ব্যবহার করতেন জুবাইদা নিজেই।
জানা গেছে, জুবাইদার পিতা ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব। নানা ধরণের অপরাধ ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। হাঁটতে থাকেন অন্ধকার পথে।
বাহারি ও চাকচিক্যময় পোশাকের উপর নির্ভর না করে হোটেল প্রবেশমুখে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ বলে মনে করেন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ।