সর্বশেষ
Home » অপরাধ » জাতিসংঘ-যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি কানেই তুলছে না ইসরাইল

জাতিসংঘ-যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি কানেই তুলছে না ইসরাইল

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও গোঁয়াড়ের মতো নিরীহ ফিলিস্তিনের ওপর অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। করুণ পরিণতিতে গাজাবাসী যখন শুধু একটু বেঁচে থাকার জন্য হাসফাঁস করছেন, তখনও তাদের ওপর পবিত্র এই রমজানে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সেনারা। এ হামলার নিন্দা এখন ক্রমশ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে রমজানে নিরীহ এসব মানুষের ওপর হামলার কারণে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হচ্ছে ইসরাইল। আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, রাফায় বড় স্থল হামলা পরিত্যাগ করতে হবে ইসরাইলকে। তা নাহলে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তাকে কথা শুনিয়েছে ইসরাইল। তা সত্ত্বেও রাফায় স্থল হামলা চালানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়ার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করার যে লক্ষ্য ইসরাইলের, আমরাও সেই দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করি। কিন্তু হামাসকে পরাজিত করার জন্য রাফায় বড় রকমের স্থল অভিযান সেই পথ নয়। এর ফলে বিপুল পরিমাণ বেসামরিক সাধারণ মানুষ নিহত হবেন। মানবাধিকারের সহযোগিতায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে। তাই ইসরাইলের জন্য আমাদের পরামর্শ হলো, আরও ভাল উপায় আছে।
রবার্ট উড বলেন, গাজায় নাটকীয়ভাবে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিতে কাজ করছে ওয়াশিংটন ডিসি। সেখানে সাধারণ মানুষের যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না। বাস্তবতা হলো মানবিক ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছানোর কারণে শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। গাজার শিশুদের অপুষ্টিতে মারা যাওয়া উচিত নয়। গাজার শতভাগ মানুষ ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগছেন।

কিন্তু কে শোনে কার কথা! গাজার রাফায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। তারা দাবি করেছে এ মাসে বিমান হামলায় হামাস কমান্ডার মারওয়ান ইসাকে হত্যা করেছে তারা। তবে হামাসের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, এই মৃত্যুর পক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। শত্রুরা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ওদিকে দু’তিনদিন ধরেই খান ইউনুসে একটি হাসপাতালে ঘিরে রেখেছে ইসরাইলি ট্যাংক ও সাজোয়া যান। এর ফলে রেডক্রস বলেছে, সেনাবাহিনীর অপারেশনের কারণে সেখানে তারা কোনো সুবিধা বা সেবা দিতে পারছে না। ৭ই অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার পর গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩২,৪১৪। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৪,৭৬৭ জন।

উল্লেখ্য, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের ১৭০ দিন পর সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রেজ্যুলুশন ২৭২৮ পাস হয়। এতে এই রমজানে যুদ্ধবিরতি আহ্বান করা হয়, যা একটি টেকসই যুদ্ধবিরতিতে নিয়ে যাবে। এ প্রস্তাবে যেসব ব্যক্তিকে ৭ই অক্টোবর জিম্মি করেছে হামাস তাদের সবাইকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে হামাস ও অন্যদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *