ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সিনিয়র একজন উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেছেন, ইসরাইলের কোনো দূতাবাসই আর নিরাপদ নয়। আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। তিনি ইসরাইলের সঙ্গে তেহরানের মুখোমুখি অবস্থানকে বৈধ এবং আইনসম্মত অধিকার হিসেবে দেখেন। আধা সরকারি আরেক বার্তা সংস্থা ইসনায় প্রকাশিত একটি অংকনচিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে ইসরাইলে আঘাত করতে সক্ষম ইরানের এমন ৯ রকম ক্ষেপণাস্ত্র আছে। গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কন্স্যুলেটে হামলা চালিয়ে ইসরাইল হত্যা করে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদি সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের। এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। তারা এই হত্যার বদলা নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। এ প্রেক্ষিতে ইসরাইলে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ইরান। এই ভয়ে ইসরাইল উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তার মধ্যে সাফাভি ওই মন্তব্য করলেন।
ওদিকে গাজায় যুদ্ধ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গাজায় ৬ মাসের যুদ্ধের পরও বেসামরিক মানুষের অনাহার, হতাশা এবং ব্যাপক প্রাণহানি বৃদ্ধি পাচ্ছেই। হামাসের দিক থেকে আসা হুমকি পরাজিত করার অধিকার আছে ইসরাইলের। একই সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অধিকার আছে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ রক্তপাত হয়েছে তাতে হতাশ বৃটেন। ঋষি সুনাক বলেন, ভয়াবহ এই যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে। জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে যেসব ত্রাণ আসছে তা অবশ্যই ছড়িয়ে দিতে হবে। গাজার শিশুদের জন্য অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। প্রয়োজন একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি। দ্রুততম সময়ে জিম্মিদের মুক্তি এবং ত্রাণ প্রবেশ হতে পারে, যাতে যুদ্ধ ও প্রাণহানি থেমে যায়।
ওদিকে ইসরাইলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ রোববার দিনের শেষে ওয়াশিংটনে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে। এই সফরে সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা লাপিদের। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কবল থেকে মুক্তির পথ বেছে নিতে ভোটারদের সুযোগ দেয়ার জন্য গত মাসে আগাম নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। নেতানিয়াহুকে তিনি শান্তি স্থাপনে অন্যতম বড় বাধা হিসেবে বর্ণনা করেন। চ্যানেল ১২’কে শনিবার ইয়াইর লাপিদ বলেছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ককে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য তিনি নেতানিয়াহুকে দায়ী করেন। ভবিষ্যত সরকারগুলোর সময়ে এই সম্পর্কের ক্ষতি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠা যাবে কিনা তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন।
ওদিকে গাজা যুদ্ধের ৬ মাস পূর্তির পর কায়রোতে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা নিয়ে বৈঠকে বসেন সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি। এতে হামাস তার মূল দাবি গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি দাবি করেছে। এটাই তাদের প্রধান দাবি। এ ছাড়া ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করতে হবে।