সর্বশেষ
Home » অন্যান্য » ভূমিকম্প পিছু ছাড়ছে না তাইওয়ানের

ভূমিকম্প পিছু ছাড়ছে না তাইওয়ানের

সপ্তাহ কয়েক আগেই জোরালো ভূমিকম্পে তছনছ হয়েছিল তাইওয়ান। আবারও থরথর করে কাঁপল পূর্ব তাইওয়ানের একাধিক শহর। ৯ মিনিটে প্রায় পাঁচ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর আগে গত ৩ এপ্রিল শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল। কম্পাঙ্ক ছিল ৭.৪। এতে অন্তত ১৩ জন মারা যান। আহতের সংখ্যা ছিল হাজারেরও বেশি। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পের কারণে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাতভর চলেছিল আফটার শক। ধস নেমে আটকে পড়েছিল অনেক রাস্তা।

রাজধানী তাইপেই সহ উত্তর, পূর্ব এবং পশ্চিম তাইওয়ানের বড় অংশ জুড়ে বিল্ডিংগুলি সারারাত ধরে কেঁপে ওঠে। সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি ৬.৩ মাত্রার ছিল। শহরতলির হুয়ালিয়েনের ফুল হোটেলটি ভূমিকম্পের সময় আংশিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং বিপজকনকভাবে হেলে পড়েছিল, তবে, এটি সংস্কারের জন্য সেইসময়ে খালি ছিল। নিকটবর্তী টং শুয়াই বিল্ডিংটিও খালি ছিল, ৩ এপ্রিলের ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে এখন এটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত।
শত শত আফটারশক প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে এবং স্থলভাগে আঘাত হানতে থাকায় মঙ্গলবার হুয়ালিয়েন এবং আশেপাশের কাউন্টিতে স্কুল এবং অফিস বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যার অধিকাংশই ৩ মাত্রার নিচে। তাইওয়ান এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবণ। দু’টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। সে কারণেই প্রায়শই ভূমিকম্প হয় এখানে। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের কম্পনের উৎসস্থল ছিল হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪.৮ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাহাড়ে ঘেরা এই শহরটিই। কম্পন-প্রবণ দেশ বলেই এখানকার বহুতল এবং বিভিন্ন ভবনগুলি তৈরি করা হয় যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের নিয়ম-রীতি মেনে। সেই সঙ্গে চলে জনসচেতনতা প্রচারও। তাইওয়ানে গত ২৫ বছরের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প তাইওয়ানে আঘাত আনে। তাতে প্রায় ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়।

সূত্র : দা হিন্দু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *