টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজে হামলার হুমকির দিয়েছে ইসলামিক স্টেট (দায়েশ)। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোর আন্তসরকারি জোট ক্যারিকম ইমপাকস এই তথ্য জানায়। তারা ওই অঞ্চলের অপরাধ ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। আসর চলবে আগামী ১লা জুন থেকে ২৯শে জুন। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল, সেমিফাইনালসহ বেশির ভাগ ম্যাচ হবে ক্যারিবীয় অঞ্চলের ৬টি দেশে। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) জানায়, যেকোনো সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আয়োজকেরা।
বার্বাডোজের সিবিসি (ক্যারিবিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জঙ্গিগোষ্ঠীর হুমকির খবরটি প্রথম সামনে আনে। গত শুক্রবারের ওই খবরে বলা হয়, প্রো-ইসলামিক স্টেটের (দায়েশ) মিডিয়া গ্রুপ ‘নাশির পাকিস্তান’ টেলিগ্রাম ও রকেটচ্যাট চ্যানেলের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজে হামলার হুমকি দিয়ে পোস্টার প্রকাশ করেছে।
ক্রিকেট বিষয়ে ক্যারিকমের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের উপকমিটির চেয়ারম্যান ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কিথ রাউলি। ত্রিনিদাদের ডেইলি এক্সপ্রেসকে হামলার হুমকি বিষয়ে রাউলির বলেন, ‘এই বিপদগুলো কমানোর জন্য আমরা স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সতর্ক আছি। আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো একক ও যৌথভাবে দেশের ও ভেন্যুতে যাওয়া মানুষের নিরাপত্তা সুরক্ষায় কাজ করছে।’
এবার ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপের ৩৯টি খেলা হবে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা, বার্বাডোজ, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনেডাইনস এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোয়। এর মধ্যে বার্বাডোজে ফাইনাল এবং ত্রিনিদাদ ও গায়ানায় দুটি সেমিফাইনাল হওয়ার কথা।
আর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা ও টেক্সাসে হবে বাকি ম্যাচগুলো। ১লা জুন নিউইয়র্কে উদ্বোধনী ম্যাচে খেলবে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা। বার্বাডোজে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ ২৯শে জুন।
ক্রিকবাজকে এ প্রসঙ্গে সিডব্লিউআই’র সিইও জনি গ্রেভস বলেন, ‘আমরা আয়োজক দেশ ও শহর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এবং টুর্নামেন্টে যেকোনো ঝুঁকি কমানোর জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করে থাকি। আমরা সব অংশীদারকে নিশ্চিত করতে চাই যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। এ নিয়ে বিশদ ও শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিকল্পনা আছে।’ আর আইসিসি ক্রিকবাজকে জানায় সিডব্লিউআই’র বক্তব্যই তাদের বক্তব্য।