টি ২০ বিশ্বকাপ এবার যৌথভাবে আয়োজন করছে আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০ ওভারের বিশ্বযুদ্ধ। এই বিশ্বকাপের লড়াইয়ের আগে এবার জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো। ক্যারিবিয়ান মিডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রো ইসলামিক স্টেটের পক্ষ থেকে এই বিশ্বকাপের মঞ্চে আক্রমণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, প্রো ইসলামিক স্টেট সংগঠনের আফগানিস্তান-পাকিস্তান শাখার পক্ষ থেকে ভিডিও বার্তা দেওয়া হয়েছে। যে ভিডিও বার্তায় আক্রমণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে এবং বাকিদের আক্রমণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। সংগঠনটি নিজস্ব গণমাধ্যম ‘নাশির পাকিস্তান’-এ হামলার হুমকি সংক্রান্ত এই খবর প্রচার করেছে। নাশির পাকিস্তান আসলে ইসলামিক স্টেটেরই প্রচারমূলক একটি চ্যানেল। এই খবরে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিয়ে।
ত্রিনিদাদের প্রধানমন্ত্রী কেথ রাউলে জঙ্গি হুমকির কথা স্বীকার করে বলেছেন, বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। হুমকির বিষয়ে গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেছেন।
যে শহরগুলিতে খেলা হবে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি। আইসিসি-র এক কর্তা জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট বোর্ড সুষ্ঠু আয়োজনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলাগুলো হবে বার্বাডোজ, অ্যান্টিগা, বার্বুডা, গুয়ানা, সেন্ট লুচিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, ত্রিনিদাদ-টোবাগোয়।
অন্যদিকে আমেরিকার ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক এবং টেক্সাসেও ম্যাচ নির্ধারিত রয়েছে। দুটি সেমিফাইনাল হবে ত্রিনিদাদ এবং গুয়ানায়। ফাইনাল হবে বার্বাডোজে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সিইও জনি গ্রেভস একটি ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আইসিসি, আয়োজক দেশ ও শহরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তারা। টিম হোটেল ও স্টেডিয়ামে কড়া নিরাপত্তা থাকবে। সব দেশের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের সুরক্ষিত রাখাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে সবথেকে তাৎপর্যের বিষয় হচ্ছে যেই দেশ থেকে এই হুমকি এসেছে সেই দেশ অর্থাৎ, পাকিস্তান গোটা বিষয়টা নিয়েই চুপ। যেখান থেকে হুমকি এসেছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া বা কোনও কড়া পদক্ষেপের ব্যাপারে মুখ খোলেনি বাবর আজমদের দেশ।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে