নাইজেরিয়ায় নৃশংস এক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের মসজিদে তালাবন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এক ব্যক্তি। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন মুসল্লি। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন মুসল্লি। পুলিশ বলেছে, উত্তরের কানো রাজ্যের একটি মসজিদে এক ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই ব্যক্তি মসজিদটির চারপাশে পেট্রোল ছিটিয়ে দিয়ে মসজিদের তালা আটকে দেয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আটকা পড়েন প্রায় ৪০ জন মুসল্লি। জমির উত্তরাধিকার নিয়ে একটি পরিবারের মধ্যে রেষারেষি থেকে এই হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, কানো রাজ্যে জেজাওয়া এলাকায় বুধবার ফজরের নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন বলেছেন, আগুন ধরিয়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। মসজিদের ভিতরে আটকা পড়ে আর্ত চিৎকার করতে থাকেন মুসল্লিরা। তারা বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাইরে থেকে তালা দেয়া থাকায় সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এক সময় প্রতিবেশীরা দৌড়ে ছুটে আসেন। তারা আটকে পড়া মুসল্লিদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
পুলিশ বলেছে, কানো শহর থেকে দ্রুত সেকানে বোমা বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করা হয়েছে। পরে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে, কোনো বোমা ব্যবহার করা হয়নি। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে কল করা হয়নি। তবে জানার পর তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরে পুলিশ বলেছে, উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনার সময় একটি পরিবারের কিছু সদস্য মসজিদে নামাজ আদায় করছিলেন। এটাকে সুযোগ হিসেবে বেছে নেয় হামলাকারী। উদ্ধার করা ব্যক্তিদের কানো রাজ্যের মুরতালা মুহাম্মদ স্পেশালিস্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইসলাম ধর্মীয় নেতা শেখ দাউদা সুলাইমান বলেছেন, নামাজ আদায়রত মানুষের ওপর এমন আচরণ সবচেয়ে বড় পাপ। এখন পুরো গ্রামবাসী শোকে স্তব্ধ।