বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে চার ফাঁসির আসামির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ডেপুটি জেলারসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরো তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। শুক্রবার জেলা প্রশাসক ও কারা অধিদপ্তরের গঠিত পৃথক কমিটির দ্বিতীয় দিনের তদন্ত শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্তরা হলেন, ডেপুটি জেলার মো. হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী ফরিদ উদ্দিন, দুই প্রধান কারারক্ষী দুলাল মিয়া ও আবদুল মতিন এবং কারারক্ষী আরিফুল ইসলাম। বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে, প্রধান কারারক্ষী আমিনুল ইসলাম ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী সাইদুর রহমান এবং কারারক্ষী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।এছাড়া জেলে থাকা সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ আসামিদের রাজশাহীসহ দেশের অন্য জেলে স্থানান্তর চলছে।
এর আগে গত ২৫শে জুন রাত ৩ টা ৫৫ মিনিটে বগুড়া কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ছিদ্র করে ফাঁসির চার আসামি পালিয়ে যায়। তারা সেলের বাথরুমের বাতলির লোহার হাতল দিয়ে এক মাসের চেষ্টায় ছাদ ছিদ্র করতে সক্ষম হয়। তবে এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাত ৪টা ০৫ মিনিটে শহরের চেলোপাড়ার চাষীবাজার এলাকার জনগণ তাদের আটক করে পুলিশে দেন। এরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হামলা ওরফে আমির হোসেন (৩৮), বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়ার ইসমাইল শেখ চাঁদ মিয়ার ছেলে ফরিদ শেখ (২৮) এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট পুর্বপাড়ার বাসিন্দা ও বিএনপি সমর্থিত কাহালু পৌর মেয়র আবদুল মান্নান ওরফে ভাটা মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩১)।
ফাঁসির আসামি পালিয়ে যাওয়ায় কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। তাই এ জেলে থাকা মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্র্ধষ আসামি এবং জেএমবির জঙ্গিদের অন্য কারাগারে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নাঈম মন্ডল, শিবলু ফকির ও আবদুর রাজ্জাক এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম ও আবদুর রহিমকে রাজশাহী বিভাগীয় কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।