ধনকুবের এবং প্রযুক্তি খাতে শীর্ষ বিনিয়োগকারী ইলন মাস্কের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৪০ মিনিট পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাক্ষাৎকারটির সরাসরি প্রচার শুরু হয়। মাস্ক দাবি করেছেন, সাইবার হামলার জেরে এ বিলম্ব ঘটে। সাক্ষাৎকারে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করতে কসুর করেননি ট্রাম্প। এছাড়া ট্রাম্পের ওপর গুপ্তহত্যার প্রয়াস এবং মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেছেন, আমি যদি আমার মাথাটা সরানোর সময় না পেতাম তাহলে আমি এখন এখানে কথা বলার সুযোগ পেতাম না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
ট্রাম্প এবং মাস্কের সাক্ষাৎকার একটি বিরল ঘটনা। সাক্ষাৎকারটি দুই ঘন্টার বেশি সময় স্থায়ী হয়। এখানে দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের এজেন্ডা, দেশের অবৈধ অভিবাসন এবং সরকারি বিধিবিধান নিয়ে আলোচনা করেন তারা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যখন ট্রাম্পের সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় তখনকার টুইটারে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয় এবং নাম বদলে ফেলার পর অ্যাকাউন্টটি ফিরিয়ে দেয়া হয়। সাক্ষাৎকারটি ভোটারদের কাছে সরাসরি পৌঁছানোর একটি উপায় হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করেন অনেকে। এটি এক্স কর্তৃপক্ষের জন্যও একটি বিশাল সুযোগ ছিল যার মাধ্যমে তারা নিজেদের ভ্যালু তৈরিতে একরকম সাহায্য পেয়েছে। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প তার নির্বাচনী ইস্যুগুলো নিয়েই বেশি আলোচনা করেছেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার সাক্ষাৎকারে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিসকে নিয়ে বেশ তীর্যক মন্তব্য করেছেন। কেননা কমালা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরুর পর থেকেই ট্রাম্প তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুভব করছেন। তিনি বলেছেন, কমালা হ্যারিস একজন কট্টরপন্থী বাম রাজনীতিক। তিনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনের সুযোগ সুবিধা সাফ করার কাজে নেমে পড়েছেন। কমালা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে বাইডেনকে অবৈধ উপায়ে সরিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন এটা দলের মধ্যে একটা অভ্যুত্থান ছিল। কথাগুলো বলার সময় ট্রাম্পকে খুব উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। ইলন মাস্ক ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। মাস্ক কমালার তুলনায় ট্রাম্পকেই এগিয়ে রেখেছেন।