সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি সৌদির প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরি দাবি করেছেন যে, মোহাম্মদ বিন সালমান তার বাবা বাদশাহ সালমানের স্বাক্ষর জাল করে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। মোহাম্মদ বিন সালমান এখন সৌদি আরবের শাসক। তিনি তার ৮৮ বছর বয়সী পিতার পরিবর্তে এখন বিশ্বব্যাপী নেতাদের সাথে দেখা করেন। এদিকে, এই অভিযোগ এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন যুবরাজ মোহাম্মদের অবস্থান সৌদি আরবে শক্তিশালী হলেও তার বিরুদ্ধে ওঠা প্রশ্ন এবং অভিযোগগুলি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু দাবি তোলা হচ্ছে যে, ক্রাউন প্রিন্স তার বাবার স্বাক্ষর জাল করে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন এমতাবস্থায়, এই বিষয়টি সৌদি আরবের রাজনীতিতে একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। সম্প্রতি এনিয়ে একটি ডকুমেন্টারির থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে বিবিসি। তাদের রিপোর্টে বলা হয়, এই অভিযোগ করেছেন সৌদির আরেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফের (এমবিএন)তৎকালীন উপদেষ্টা সাদ আল-জাবরি। এই সাদ আল-জাবরি একসময় সৌদি সরকারের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। প্রাক্তন উপদেষ্টা সাদ আল-জাবরি বলেন, ওই সময় সৌদি প্রশাসনের প্রতিরক্ষা বিভাগের দায়িত্ব ছিল মোহাম্মদ বিন সলমানের (এমবিএস) হাতে।
ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমাতে আমেরিকার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সেনা পাঠিয়েছিল সৌদি আরবও। আর সেটার অনুমোদন আসে সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে। তাতে জালিয়াতি করেন বিন সলমান। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। তখন ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে সামরিক সমর্থন দিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইয়েমেনে সেই লড়াইয়ে মোট ৪ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারায়। ঘরছাড়া হন ৪৫ লক্ষ। এর মধ্যেই ২০১৭ সালে সৌদি আরব থেকে পালিয়ে কানাডা চলে যান সাদ আল-জাবরি।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই