মাওলানা শায়খ আহমাদুল্লাহ পোস্টে জানান, ‘পৃথিবীর বহু দেশে অনেক আগে থেকেই সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। খুশির খবর হলো, বাংলাদেশেও সর্বজনীন পেনশন চালু হয়েছে।
মৌলিকভাবে এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে সরকার ঘোষিত সর্বজনীন পেনশনের যে রূপরেখার কথা আমরা জানি, তা কনভেনশনাল বিমার অবিকল, যা ‘গারার’ ও রিবানির্ভর।
অর্থাৎ, একজন নাগরিক নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত নির্ধারিত হারে নিয়মিত অর্থ জমা দেবে, বিপরীতে শেষ বয়সে সরকার তাকে আমৃত্যু পেনশন দেবে।
নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিয়ে সেই অর্থের বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার যে চুক্তি- তা সুদের আওতায় পড়ে। এ দেশের বেশিরভাগ মুসলমান সুদকে অপছন্দ করে।
এ কারণে কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর তুলনায় ইসলামী ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের ভিড় বেশি। এ ছাড়া কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোও গ্রাহক চাহিদার কারণে ইসলামী উইং খুলতে বাধ্য হচ্ছে।
এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, সাধারণ স্কিমের পাশাপাশি সুদমুক্ত একটা স্কিমও চালু করা উচিত। যাতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘সুদমুক্ত স্কিম চালু করা মোটেও কঠিন বিষয় নয়। সরকার আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিলেই এটি সম্ভব। সহায়তা চাওয়া হলে বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম এ বিষয়ে সহায়তা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
অন্যথায় সর্বজনীন পেনশন প্রকৃত অর্থে ‘সর্বজনীন’ হবে না। কারণ, সুদের কারণে দেশের উল্লেখযোগ্য মানুষ এতে অংশগ্রহণ করবে না বলে আমি মনে করি।’