ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হামলা চালালে তেহরানের পাল্টা হামলা অনেক বেশি শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর হবে বলে হুঁশিয়ার করলেনর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি।
তিনি শুক্রবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল টিজি৩ এ সম্প্রচারিত একটি টক-শো অনুষ্ঠানে ওই হুঁশিয়ারি দেন। খবর ইরনার।
ইরানের গত ১ অক্টোবরের ইসরায়েল বিরোধী হামলার জবাবে তেহরানে পাল্টা হামলা চালাতে ওয়াশিংটন তেলআবিবকে সবুজ সংকেত দিয়েছে কিনা বা সেরকম হামলা হলে ইরানের প্রতিক্রিয়া কী হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে আরাকচি ওই হুঁশিয়ারি দেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি নতুন কোনো বিষয় নয় যে, ইসরায়েল মার্কিন সরকারের সবুজ সংকেত পাচ্ছে। কাজেই ওটি নিয়ে তেহরানের কোনো মাথাব্যথা নেই, তবে যেকোনো ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র।
গাজা উপত্যকা ও লেবাননে ইসরায়েলি পাশবিকতা এবং তেহরান ও বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় যথাক্রমে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যর প্রতিশোধ নিতে গত ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলের কয়েকটি সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটিতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
ওই হামলায় ইসরায়েলি ঘাঁটিগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, যদিও ক্ষতির ধরন ও পরিমাণ গোপন রেখেছে তেলআবিব। ইসরায়েলের পাশাপাশি মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়।
ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ‘ভয়ানক জবাব’ দেয়া হবে বলে হুমকি দিলেও এখন পর্যন্ত তেলআবিব ঘাপটি মেরে বসে আছে।
টক-শোতে আরাকচি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের গত বছরের ৭ অক্টোবরের আল-আকসা তুফান অভিযান নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওই অভিযান বিনা কারণে চালানো হয়নি বরং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ৮০ বছরের ইসরাইলি বর্বরতা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।