নভেম্বর থেকে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। উত্তর পূর্বের রাজ্যটিকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন এবং আইবি ডিরেক্টর তপন ডেকাসহ শীর্ষ অফিসাররা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। দফায় দফায় বৈঠকের পরেই মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দিয়েছে শাহের মন্ত্রক। উত্তেজনা, হিংসা এবং অশান্তির নতুন ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে জিরিবাম জেলা। রবিবার সেই জেলার বাবুপাড়া এলাকায় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর কুড়ির এক যুবকের। জিরিবাম থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে বিজেপি এবং কংগ্রেসের দু’টি দলীয় দফতরেও আগুন লাগিয়েছে উত্তেজিত জনতা। ঘটনার পর থেকে থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়। নতুন করে কোনও রকম অশান্তি যাতে না ঘটে তার জন্য প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে গোটা এলাকায়। এদিকে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গুলিতে আরও এক যুবক আহত হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি প্রশাসন। রাজ্যের পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে সমর্থন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে কনরাড সাংমার দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
এনপিপি সমর্থন প্রত্যাহার করলেও বীরেন সরকারের পতন ঘটবে, আপাতত এমন সম্ভাবনা নেই। ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় বিজেপির ৩৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। সে রাজ্যে সরকার গঠন কিংবা টেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় যাদুসংখ্যা বা ‘ম্যাজিক ফিগার’ ৩১। সে দিক থেকে দেখলে বিজেপি একক শক্তিতেই সরকার রক্ষা করতে পারবে। তবে তার পরেও অস্বস্তি থাকছে বিজেপির। কারণ রাজ্যে গোষ্ঠীহিংসার আবহে দলের সাত কুকি বিধায়ক বেসুরে বাজছেন। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মেইতেই অধ্যুষিত ইম্ফলে গিয়ে তাঁরা বিধানসভার অধিবেশনেও যোগ দিচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে