আওয়ামী আমলের নির্বাচনকে আদালতের মাধ্যমে এক ধরনের বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচনকে বৈধতা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সেই নির্বাচন নিয়ে বিশৃঙ্খলা না করে আমাদের স্থানীয় নির্বাচনের দিকে নজর দেয়া উচিত।
সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা-বিচার, সংস্কার এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। কিন্তু এই সরকার কি শুধুই নির্বাচনকালীন সরকার? নাকি গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নকারী সরকার। আমাদের প্রত্যাশা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকলের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সমাধানের দিকে যাবেন। জুলাই ঘোষণাপত্রের সময় এগুচ্ছে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিনটি বিষয়েরই রোডম্যাপ জুলাই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে দেয়া হলে জনমনে একটা স্বস্তি তৈরি হবে। সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনা করে রাজনৈতিক দল ও প্রত্যেকটা নাগরিকের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এটা আরও আগে প্রকাশ করলে সংশয় তৈরি হতো না। সেনাবাহিনী আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। রাজনৈতিক ইতিহাস আমরা দেখছি… ১/১১ও হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা কিন্তু দেশের জন্য ক্ষতিকর। কখনই ভালো ফলাফল নিয়ে আসেনি। যার যেটা কাজ সেটাই যাতে পালন করে।
নাহিদ বলেন, বিগত সরকার নানান ধরনের মানবতাবিরোধী কাজ করেছে। অভিযুক্ত অনেক সেনা অফিসার যারা গ্রেপ্তার হয়নি বা তাদের বর্তমান অবস্থান কী তা আমরা জানি না। এ বিষয়গুলো স্পষ্ট করলে সেনাবাহিনী আরও আস্থার জায়গা পাবে। আমরা সেনাবাহিনীকে সেই আস্থার জায়গাটা দিতে চাই।
এনসিপি’র এই আহ্বায়ক বলেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপি’র কোনো সম্পর্ক নেই। তাদেরকে এনসিপি’র সঙ্গে সংযুক্ত করে একধরনের অপ্রচার-হেও করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের সিদ্ধান্ত, তারা সরকার থেকে বের হবেন বা আদৌও বের হবেন কিনা। দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে জড়িয়ে এনসিপিকে ঘিরে যে অপপ্রচার তার তীব্র নিন্দা জানাই।
এসময় এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।