মালয়েশিয়ার সাবেক দুইবারের প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ আবারও প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। সম্প্রতি পুত্রজায়ায় পারদানা লিডারশিপ ফাউন্ডেশনে (পিএলএফ) আয়োজিত একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে তার জীবন ও নেতৃত্ব নিয়ে লেখা ‘এ কনভার্সেশন উইথ তুন ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ: এ লিগেসি অব লিডারশিপ অ্যান্ড ভিশন’ শীর্ষক বইটি উন্মোচিত হয়।
দেশটির দি রাকায়েত পোস্ট ও মালয়েশিয়া কিনি জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে ‘২১শ শতাব্দীতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সংলাপে অংশ নিয়ে মাহাথির বলেন, যদি তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হন, তবে প্রথম কাজ হিসেবে তিনি জাতি, ধর্ম ও রাজতন্ত্র সম্পর্কিত আলোচনা নিষিদ্ধ করার জন্য আরোপিত শাস্তি বাতিল করবেন। তিনি বলেন, মানুষ কী ভাবছে, তা জানার অধিকার একজন নেতার থাকা উচিত। তাদের মুখ বন্ধ করে দিলে নেতৃত্ব সফল হয় না।
মালয়েশিয়া কিনি মাহাথির মোহাম্মদের উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানিয়েছে, আমাদের দরকার বাকস্বাধীনতা। ব্যবসা করার স্বাধীনতা। দরকার সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে দৃঢ় সহযোগিতা। কারখানাগুলোকে উন্নত করতে হবে। সবকিছু আরও সহজ করে তুলতে হবে।
তবে মাহাথিরের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকে মনে করছেন, মাহাথির নিজেই অতীতে মালয় আধিপত্য এবং বিভেদমূলক বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি আর কতবার দেশ চালাতে চান?
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মাহাথির হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে দেশটিতে কিছু সময়ের জন্য সরকারহীন হয়ে পড়ে এবং পরে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যদিও মাহাথিরের অনেক আজীবন অনুসারী এখনো রয়েছেন, তবে মালয়েশিয়ার একটি বড় জনগোষ্ঠী মনে করছে, এই রাজনীতিবিদের উচিত এখন চূড়ান্তভাবে অবসর গ্রহণ করা।