পাহাড়ে বেপরোয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ’র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আবারো টহলরত নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রাঙামাটি সদর উপজেলার মৌনপাড়া এলাকায় অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদের মজুদসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থান তথ্যে অভিযান পরিচালিত করতে গেলে হামলার শিকার হয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রতিবেদকের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন। এই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর প্রায় ১৮০ জনের টিম ওই এলাকায় কর্ডন করে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বার্তায় অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিরাপত্তাবাহিনীর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মৌনপাড়া এলাকায় গেলে মেজর সুদর্শন নামে ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর কমান্ডার পরিচয়ে মোবাইল ফোনে টহল কমান্ডারকে হুমকি দিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলেন। এরপর সেনাবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে এবং বাড়তি সদস্য মোতায়েন করে। মঙ্গলবার ভোররাতে, মৌনপাড়া স্কুল এলাকায় ইউপিডিএফ’র সদস্যদের অবস্থান নিশ্চিত করে সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। ঘিরে ফেলার সময় সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্য মো. তরিকুজ্জামান খান ডান হাতের আঙুলে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে দ্রুত হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ইউপিডিএফ’র তিনজন সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে এলএমজি রাইফেল, গোলাবারুদ ও আইডি কার্ডসহ আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- মনসুখ চাকমা (৫০), সিন্ধু মনি চাকমা (২৩) ও অন্তর চাকমা (১৯)।

অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ১টি এসএমজি (সাবমেশিন গান), ১২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, কয়েকটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাগুলির সময় ঘাগড়া উল্টো পাড়ার এক পাহাড়ি ব্যক্তি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে রাঙামাটির পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা রাঙামাটির সার্বিক পরিস্থিতির প্রতি সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। নাগরিকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here