সুনামগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে এক চেয়ারম্যান বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া ও সংঘর্ষের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। অস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার বিকালে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, হাতিয়া গ্রামের একরার হোসেনের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করছেন ও প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে বন্দুক দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর একরার বাহিনীর লোকজন হামলা করলে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হন। পরে এলাকাবাসীর ফোনে বিকাল সাড়ে ৪টায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্দুকের মহড়ার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়লে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে, বারবার অস্ত্র প্রদর্শন করার বিষয়টি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন গ্রামের লোকজন। জানা যায়, দিরাই উপজেলার হাতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্ব নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গ্রামবাসীর মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি একরার হোসেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ঘটনায় বোর্ড তদন্ত করে অনিয়মের অভিযোগে এ কমিটি বাতিল করে দেন।
ফলে এর সূত্র ধরে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক এবং গ্রামের লোকজনের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এদিকে সংঘর্ষের পর ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ফেসবুকে গ্রামের লোকজনকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিতে দেখা যায় ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের ভাতিজা রাজু হোসেনকে। চেয়ারম্যান একরার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, এগুলো আগ্নেয়াস্ত্র না, কাঠের ডামি অস্ত্র ও পাইপ। দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, ‘খবর পাওয়ার মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।