পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে বিপদে ফেলার জন্য সবসময় চেষ্টা করেছে, তারা আল্লাহ্র কাছে কী প্রার্থনা করে আমি জানি না। তবে শকুনের দোয়ায় যেমন কখনো গরু মরে না, তেমনি বিএনপি’র অশুভ কামনায়ও আমাদের কিছু অশুভ হবে না। পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সবার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। গতকাল সকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে বিমানবন্দরের বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বন্ধুদের আমাদের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনে গেছেন। আমি আজ কাগজে দেখলাম, নির্বাচন কমিশন যে তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন, এতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন। দেখুন, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশির ভাগ নিবন্ধিত দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আপনারা জানেন- যেদিন নির্বাচন হয়, সেদিন প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা ছিল।
এ কারণে ভোটের পার্সেন্টেজ প্রায় ৪২ শতাংশ। যদি কুয়াশা এবং শীত না থাকতো তাহলে আরও বেশি ভোট কাস্ট হতো। তিনি বলেন, আপনারা জানেন- এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রতিহত করার জন্য বিএনপি যেভাবে আগুন সন্ত্রাস করেছে, ৫ তারিখ রাতেও যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে, এসব করে মানুষকে ভয় লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ ভয় পায়নি, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে গেছেন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন যে আন্তর্জাতিকভাবে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে গ্রহণ করেছে, সেটির প্রমাণ হচ্ছে বহু নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আইআরআই, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত, সার্কভুক্ত, ওআইসিভুক্ত ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে এসেছেন। তারা একযোগে মত প্রকাশ করেছেন- বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম সহিংসতা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের দিন প্রতি দু’ঘণ্টায় তথ্য দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে ম্যানুয়ালি ভোটে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর আসলে কতো শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে, সেটি নির্ভুলভাবে দেয়া সম্ভব নয়। ইভিএমএ ভোট হলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রার্ড হতো। যেহেতু ইভিএমএ ভোট হয়নি, ম্যানুয়াল ভোটে প্রতি দুই ঘণ্টার তথ্য কোনো সময় সঠিকভাবে দেয়া সম্ভব নয়। সেজন্য সঠিক তথ্যটা এসেছে নির্বাচনের শেষে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।