বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় মানিকগঞ্জের পদ্মায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের মাঝ নদীতে ডুবে যাওয়া রজনীগন্ধা ফেরি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে হামজা-রুস্তমের সেই সক্ষমতা আছে কিনা সেটি দেখার বিষয়। এর আগের ফেরি দুর্ঘটনার সময় শেষ পর্যন্ত নৌবাহিনীর সহযোগিতা নিতে হয়েছিল। ঘটনাস্থলে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এবং ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক যাচ্ছেন। সেখানে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন। প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা ফেরিটি ৯টি গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ঘন কুয়াশায় ফেরিটিকে মাঝ নদীতে নোঙর করা হয়। সকালে ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে এলে বাল্কহেডের ধাক্কায় এটি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও চারজন নদী সাঁতরে তীরে পৌঁছেছেন।