হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গতকাল সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় এ তাপমাত্রা আরও কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জে এই তাপমাত্রা বিরাজ করে। এটাই চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তীব্র শীতের ফলে জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে-
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গতকাল সকাল ৬টায় এ জেলা ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এবং সকাল ৯টায় এই তাপমাত্রা আরও কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, গতকাল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জেও একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল সকালে বাঘাবাড়ি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে এ জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। অপরদিকে তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহাওয়ায় উচ্চ চাপ থাকার কারণে কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। তিনি আরও জানান, জানুয়ারি মাসে শীত অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় গত সোমবার দুপুরের দিকে জেলার মোট ৩৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৯২টি মাদ্রাসা ও ১৬৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আফসার আলী বলেন, ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নেমে আসায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার ৩৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক স্তরের ১৯২টি মাদ্রাসায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি জানান, গতকাল ও বুধবার এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন, তাপমাত্রা বেশি থাকায় সিরাজগঞ্জের জেলার ১৬৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।