সোমবার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানের পরে ২৩ জানুয়ারি থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দরজা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রতিদিন দুটি সময়ে দর্শণার্থীরা প্রবেশের সুযোগ পাবেন – সকাল ৭ টা থেকে সাড়ে ১০টা এবং দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা। প্রথমদিনই রামলালা দর্শনের জন্য মন্দির প্রাঙ্গণে দেখা গেল নজিরবিহীন ভিড়। প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যেও মন্দির চত্বরের বাইরে ভোর ৩টা থেকেই বিশাল ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। মন্দিরে ঢোকার জন্য দরজার বাইরে লাইন দিয়েছিলেন। ভোর ৬টা ৩০-এ রাম মন্দিরে প্রথম ভোরের আরতি হয়। তার পর মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় দর্শণার্থীদের জন্য। সকাল ৮টা থেকে ভক্তদের পুজা নেয়া শুরু হয়।
রাম মন্দিরের প্রবেশপথে ছিলো তুুমুল হুড়োহুড়ি। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যে ব্যারিকেড দেয়া ছিল, একসময় সেই লোহার ব্যারিকেড ভেঙে মন্দিরে ঢুকতে শুরু করেন দর্শণার্থীরা। পুলিশকে সামান্য লাঠিচার্জও করতে হয়।
তাতে মাথা ফাটে এক সাধুবাবার। আরও কয়েকজন আহতও হন। এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় রাম মন্দিরের দরজা। আবার দুপুর ২টার পর মন্দির খুলে দেয়া হয় ভক্তদের দর্শনের জন্য। মন্দির চত্বরের মধ্যেই ভক্তদের বসার জায়গা করা হয়েছে। মন্দির সূত্রে জানানো হয়েছিল, প্রথম দিনই প্রায় ৫ লক্ষ পুণ্যার্থী মন্দিরে পা রাখতে পারেন। তবে, বেলা যত বেড়েছে ভক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। লখনউ জোনের এডিজি পীযূষ মোর্দিয়া দর্শকদের ছবি তোলা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়াতে অনুরোধ করেছেন। তিনি জনসাধারণের কাছে পুলিশের নির্দেশিকা অনুসরণ করার এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সহযোগিতা করার জন্য আবেদন করেছেন।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে