বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে ইসলামভীতি। এ কারণে প্রতিদিনই মুসলিমদের শত শত হেনস্থা ও আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। অবশেষে ইসলামভীতি মোকাবিলা করতে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে জাতিসংঘ। এটিকে সমর্থন দিয়েছে ১১৫ দেশ। তবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল ভারত, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালিসহ ৪৪ দেশ।
পার্সটুডে জানিয়েছে, ভারতে ২১ কোটির বেশি মুসলমান রয়েছে। ফলে এই ভোটে ভারতের অংশ না নেয়া অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদ শুক্রবার ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ শীর্ষক ওই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির আয়োজন করে। ১৫ই মার্চ ছিল ইসলামভীতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক দিবস।
ভোটদানে বিরত থাকার পক্ষে যুক্তি দিয়ে ভারত বলেছে, এ ধরণের প্রস্তাব গ্রহণ করে এমন নজির স্থাপন করা উচিত হবে না, যাতে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের ভীতিকে কেন্দ্র করে অসংখ্য প্রস্তাব তোলা যায় ও বিভিন্ন ধর্মীয় শিবিরে জাতিসংঘের বিভক্ত হয়ে পড়ার শঙ্কার সৃষ্টি হয়। এ রকম ধর্মীয় বিষয়ের ঊর্ধ্বে উঠে নিজের অবস্থান বজায় রাখা জাতিসংঘের জন্য জরুরি। সেটি না হলে তা বিশ্ববাসীকে একটি পরিবার হিসেবে থাকা এবং শান্তি ও সম্প্রীতির ব্যানারে আমাদের একত্র করার পরিবর্তে বিভক্ত করে ফেলতে পারে।
প্রস্তাবে ইসলামভীতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারত নীতিগতভাবে এমন বিশেষ দূত নিয়োগের বিষয়েও বিরোধিতা করেছে। এর আগে ২০২২ সালে ইসলামভীতি নিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছিল সাধারণ পরিষদ। সেখানে ইসলামভীতি মোকাবিলায় ১৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিহত হন অর্ধশতাধিক মুসল্লি। পাকিস্তানের উদ্যোগে উত্থাপিত এ প্রস্তাবে সহযোগী দেশ হিসেবে ছিল চীন।