জিম্মি হওয়ার সময় জাহাজে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের খাবার ছিলো। তারপর কয়েকদিন কেটে গেছে। ফলে টান পড়েছে খাবারে। এর মধ্যে আবার দস্যুরা নাবিকদের খাবার খাচ্ছেন। ফলে জাহাজে রসদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।এটা নিয়ে জিম্মি সবাই শঙ্কিত। ভারত মহাসাগরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ’র নাবিক নুরুদ্দিনের বরাতে তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস শিমু দ্যা নিউজকে সব কথা জানিয়েছেন।
জান্নাতু ফেরদৌস বলেন,’দস্যুরা তাদেরকে শারীরিকভাবে আঘাত করেনি। তবে সবসময় ভারী অস্ত্র তাক করে রাখেন।এটা নিয়েও তারা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন।’ এদিকে বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খান বলেন জলদস্যুরাসহ আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে। আমাদের পানি ব্যবহার করছে। আমাদের এ খাবার ১০-১৫ দিন বড়জোর যেতে পারে। ১০-১৫ দিন পর আমাদের খাবার যখন শেষ হয়ে যাবে তখন খুব কষ্টে পড়ে যাব।
আতিক উল্লাহ খানের ছোট ভাই মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ খান আসিফ বলেন, গতকাল শুক্রবার বড় ভাই বিকাল ৫টার দিকে ফোন করেছেন। তিনি বলেছেন, জাহাজসহ তাদেরকে নতুন একটি জায়গায় নিয়ে গেছে। তারা ভালো আছেন জানিয়েছেন। মুক্তিপণের বিষয়ে তাদের সঙ্গে কোনও কথায় বলছেন না দস্যুরা। তবে চিন্তিত আছেন খাবার-পানি নিয়ে। তাদের কাছে যেসব খাবার-পানি মজুত আছে তা থেকে দস্যুরাও খাচ্ছেন। এ কারণে দ্রুত খাবার-পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে তিনি চিন্তিত।
এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহ’য় অবস্থানরত চার সোমালি জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে।শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে এমভি আবদুল্লাহ’য় টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের সবার হাতেই ভারী অস্ত্র রয়েছে। ওই পোস্টে জানানো হয়, সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে.।
এদিকে শুক্রবার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র অবস্থান পরিবর্তন করেছে। আগে নোঙর করা স্থান থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।শনিবার সন্ধ্যায় কবির গ্রুপের দেয়া তথ্যানুযায়ী, জিম্মি জাহাজটি উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছে।