সর্বশেষ
Home » অন্যান্য » অর্থনীতি কোন পথে

অর্থনীতি কোন পথে

মূল্যস্ফীতির হার পৌঁছেছে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তের সংসারে চাল-তেলের হিসাব মেলাতে প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। ডলারের দর হয়ে উঠেছে পাগলা ঘোড়া। তিন বছরের ব্যবধানে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে ২৪ টাকারও বেশি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ খরচ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি।

প্রবাসী আয় কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। ডলার আসার অন্যতম প্রধান দুটি উৎস নিয়ে স্বস্তি আসেনি। প্রধান কয়েকটি খাতের রপ্তানি কমেছে। ব্যাংক খাতে অস্থিরতা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোনদিকে যাবে? এমন প্রশ্নে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি বহুমুখী চাপের মধ্যে রয়েছে। অর্থনৈতিক সূচকগুলো নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে: চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে শিল্প খাতে, ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১০ শতাংশ। এদিকে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংকও। সংস্থাটি বলছে, এ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও গত এপ্রিলে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। নানাবিধ চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ করে প্রবৃদ্ধি হ্রাসের এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার কথা বলছে বিশ্বব্যাংক। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দুই সংস্থার পূর্বাভাসের ব্যবধান দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট। সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরেও সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা একই ছিল। তবে সরকারের উচ্চাভিলাষী এই লক্ষ্য অর্জন হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে: ক্রমশ বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি খেয়ে ফেলছে দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্য। বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। ১৩ মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে।

রিজার্ভে টান: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত কমে ২০ বিলিয়ন বা ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদের তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, ১৭ই এপ্রিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন বা এক হাজার ৯৮ কোটি ডলারে। একই দিনে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৫৩০ কোটি ডলার। গত বছরের এ সময়ে মোট রিজার্ভের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল (৩১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ১১৮ কোটি ডলার)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন। ২০২০-২১ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩১ বিলিয়ন ডলার।

বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে: বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েই চলেছে। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। গত ৯ মাসে সব মিলিয়ে ২৫৭ কোটি ডলারের বেশি সুদ ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। বিদেশি ঋণ পরিশোধের এই চাপ এসেছে এমন এক সময়ে, যখন দেশে কয়েক মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ডলার সংকটের এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে রিজার্ভ ও বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার স্বল্প মেয়াদের ঋণের কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের কিস্তিও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধও শিগগিরই শুরু হবে। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে অন্য মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে চাপ আরও বাড়বে।
রাজস্ব ঘাটতি: চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতির চাপ, ডলার সংকট, শেয়ারবাজারে নিম্নগতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, খেলাপি ঋণ, রপ্তানি আয়ের গতি বিশ্লেষণ করে লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করে অর্থ মন্ত্রণালয়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করেও রাজস্ব আয় পূরণ করতে পারছে না এনবিআর। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ঘাটতি হয়েছে ২১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা।

এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি: চলতি অর্থবছরের ৯ মাস তথা চার ভাগের তিন ভাগই শেষ হয়ে গেছে। অথচ এ সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ৪২ দশমিক ৩০ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জুলাই-মার্চ ৯ মাসে এডিপিতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। ধীরগতির বিষয়ে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব বলেছেন, এডিপি বাস্তবায়ন হার কম হওয়ার অন্যতম কারণ ঠিকমতো অর্থছাড় না হওয়া। বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থছাড় কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েকদিন আগে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর মানবজমিনকে বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ধীরগতির অন্যতম কারণ হলো সরকার ইচ্ছা করেই কম ব্যয় করছে। সরকারের মূল লক্ষ্য হলো বেশকিছু টাকা কাটছাঁট করা। এজন্য সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও (আরএডিপি) বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

ব্যাংক খাতে অস্থিরতা: দেশে ব্যাংক খাতের অস্থিরতা বেড়েছে। এই খাতের সমস্যার কথা স্বীকার করে পথনকশা তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে চুক্তি করেছে। এ ছাড়া কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বিডিবিএলের একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, ব্যাংক একীভূত করায় সতর্ক থাকতে হবে। সম্পদের মান ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যাংক একীভূত করা উচিত। এ জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, ভালো ব্যাংক কখনো বাড়তি দায় নেয় না।

প্রধান কয়েকটি খাতে রপ্তানি কমেছে: তৈরি পোশাক ও কয়েকটি অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি কিছুটা প্রবৃদ্ধি হলেও অন্য ৪টি প্রধান খাতে রপ্তানি কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, দেশের হিমায়িত ও চিংড়ি মাছ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি কমেছে। ইপিবি’র সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) হিমায়িত ও টাটকা মাছ রপ্তানি করে ২৯ কোটি ৯২ লাখ ডলার আয় করেছেন রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম। এর মধ্যে চিংড়ি মাছ থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে গত ৯ মাসে হোম টেক্সটাইল থেকে মাত্র ৬৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার আয় হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম। লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে আরও বেশি, ৩১ শতাংশ। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৬ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা যা বলছেন: দেশের অর্থনীতি বহুমুখী চাপের মধ্যে আছে জানিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, এই চাপের ফলশ্রুতিতে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমেছে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমেছে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ কম সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠতে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, এডিপি বাস্তবায়নের সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে, সেই সঙ্গে সরকারি সেবামূলক খাতগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতে নজর দিতে হবে, রেভিনিউ বাড়ানোর কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এখনই যথাযথ উদ্যোগ না নিলে বর্তমান অবস্থা থেকে বের হওয়া বেশ কঠিনই হবে। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর দুই বছরের মধ্যে অনেক দেশই অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠেছে। বর্তমান অবস্থা থেকে ঠিকভাবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিচালনা করলে বাংলাদেশের পক্ষেও এই সময়ের মধ্যে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তবে আমাদের সমস্যা আরও গভীর হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমাদের বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এগুলোর অভাবেই আমরা এই জায়গায় এসে পড়েছি। এগুলোকে অ্যাড্রেস করেই এই জায়গা থেকে বের হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *