সংবিধান সংশোধন করতে চায় পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) নেতৃত্বাধীন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সরকার। এ জন্য তিনি পার্লামেন্টারি দলগুলোকে আস্থায় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় পার্লামেন্টারি দলগুলোকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাউজে মিটিং করার কথা তার। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারকদের অবসরে যাওয়ার বয়স বৃদ্ধি করার জন্য তিনি সংবিধান পরিবর্তন করতে চান। যেকোনো ইস্যুতে সংবিধান সংশোধন করতে হলে সরকারকে জাতীয় পরিষদে কমপক্ষে ২২৪ এমপির ভোট এবং উচ্চকক্ষ বা সিনেটে ৬৪টি ভোট পেতে হবে। জাতীয় পরিষদে ক্ষমতাসীন দলের আছে ২১১ আসন। বিরোধী দলের আছে ১০১ আসন। ফলে সংবিধান সংশোধন করতে হলে আরও কমপক্ষে ১৩ ভোট প্রয়োজন হবে শেহবাজ শরীফ নেতৃত্বাধীন সরকারের। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। পাকিস্তানের সংবিধানের ১৭৯ ধারা অনুযায়ী যদি নির্ধারিত সময়ের আগে পদত্যাগ না করেন অথবা পদ থেকে সরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে বয়স ৬৫ বছর পর্যন্ত একজন বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
অন্যদিকে হাইকোর্টের বিচারকদের জন্য সংবিধানের ১৯৫ ধারায় এই বয়স নির্ধারিত হয়েছে ৬২ বছর। কিন্তু শেহবাজ শরীফ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ও হাইকোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে যথাক্রমে ৬৮ ও ৬৫ বছর করতে চাইছে। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)। গত মাসে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বাছাই করার বিষয়ে পিটিআই আগেভাগেই নিশ্চয়তা চায়। এরপর বর্তমান প্রধান বিচারপতি কাজি ফয়েজ ইসার মেয়াদ বৃদ্ধির গুজব ও জল্পনার মধ্যে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি এসেছে। তবে প্রধান বিচারপতি সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে অফ দ্য রেকর্ড এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ ঠিক করার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তিনি মেনে নেবেন না।