রাজনীতিতে চিরস্থায়ী মিত্র বা শত্রু বলে কিছু হয় না। জনপ্রিয় এই প্রবাদ বিশ্বমঞ্চেও সমানভাবে প্রযোজ্য। তাই হয়তো আমেরিকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডনাল্ড ট্রাম্পের সভায় বন্দুকধারীর হামলার পরে স্থানীয় গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনই দাবি করলেন আমেরিকার শীর্ষ পর্যায়ের রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ। টাকার কার্লসনের পডকাস্টে কথা বলার সময়, উইটকফ দুই নেতার মধ্যে উন্নয়নশীল সম্পর্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার সম্ভাবনার কথা ভাগ করেছেন। কথোপকথনের সময়, উইটকফ প্রকাশ করেছেন যে, মার্কিন নির্বাচনের আগে বাটলারের সমাবেশে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টার পরে পুতিন ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন।

উইটকফ বলেন, পুতিন স্থানীয় গির্জায় গিয়েছিলেন এবং প্রেসিডেন্টের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি (ট্রাম্প) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন বলে নয়, বরং তার সাথে গভীর বন্ধুত্বের কারণে।

উইটকফ আরও জানান যে, মস্কোতে তার একটি সফরের সময়, পুতিন একজন শীর্ষস্থানীয় রাশিয়ান শিল্পীর কাছ থেকে ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি চেয়েছিলেন এবং সেটি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন। পুতিনের এই আচরণে মুগ্ধ হয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে, উইটকফ মস্কোর প্রতি ট্রাম্পের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করেছেন। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একটি সংকেত পাঠিয়েছিলেন। সেখানে বলা ছিলো তারা তাদের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চান এবং তারা এই দ্বন্দ্বের সমাধানকারী দুই মহান নেতা হতে চলেছেন।’

উইটকফ পডকাস্টার কার্লসনকে বলেছেন, আমি পুতিনকে খারাপ লোক বলে মনে করি না। এটি একটি জটিল পরিস্থিতি। যুদ্ধ কখনই ব্যক্তিকেন্দ্রিক হতে পারে না। এর পেছনে আরো অনেক কারণ থাকে।

দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে পুতিনের সাথে আলোচনা শুরু করার জন্য উইটকফের ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। উইটকফের কথায়, পুতিন ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছিলেন। নিজেকে সব ধরনের আলোচনার জন্য উন্মুক্ত বলে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here